Author - Axiom

উচ্চশিক্ষা মিশনের ৫ ধাপ

বাংলাদেশ থেকে ইদানিং কালে বিদেশে পড়তে যাবার প্রবণতা অনেক বেড়েছে। আগে যা ছিলো শুধুমাত্র উচ্চবিত্ত আর ব্যতিক্রমী মেধাবীদের মাঝে সীমাবদ্ধ এখন আর তেমন নেই। তীব্র আগ্রহ থাকলে আজকাল যে কেউ উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমাতে পারে ইউরোপ আমেরিকা ও এশিয়ার নানান দেশে ।

অনেকে আবার দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পড়ালেখা শেষে সেখানেই নিজের ক্যারিয়ার গড়ছেন। আবার মুদ্রার ওপিঠেই আছে অনেক ব্যার্থতার কাহিনী, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনেক সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থী শুধুমাত্র সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবে যেতে পারেননি তার পছন্দের দেশের পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাই আমরা চেষ্টা করছি আপনার ভার্চুয়াল গাইড হতে। আপনি কি বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য আগ্রহী? তাহলে এই ওয়েব সাইট আপনার জন্য। এখানে আপনার বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য কোর্স সিলেক্ট থেকে শুরু করে ভিসা আবেদন পর্যন্ত সব কিছুই আছে।

উচ্চশিক্ষা মিশনের ৫ ধাপ :

মেজর সিলেক্ট

আপনি কোন বিষয়ে পড়াশোনা করতে চান তা নির্বাচন করুন। আপনার ক্যারিয়ারের লক্ষ্য ও ব্যক্তিগত ভালোলাগা এই দুই এর সমন্বয়ে আপনার সাবজেক্ট পছন্দ করুন। উচ্চ শিক্ষার বিভিন্ন বিষয় ও ক্যারিয়ার সম্বন্ধে জানতে ক্লিক করুন ।

প্রয়োজনে আপনার ব্যাক গ্রাউন্ডের সিনিয়রদের পরামর্শ নিন। মেজর সিলেক্ট হয়ে গেলে আপনি পরবর্তী ধাপ তথা কলেজ/ইউনিভার্সিটি সিলেক্ট করতে পারবেন। এক্ষেত্রে যে প্রতিষ্ঠান আপনার পছন্দের মেজর পড়ায় না তা তালিকা থেকে বাদ পড়বে।

ব্যক্তিগত পছন্দ

কলেজ/ইউনিভার্সিটি সিলেক্ট করার আগে আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ/অপছন্দ বিবেচনা করাটাও জরূরী । অনেকের বিশেষ কোন দেশ সম্পর্কে fascination থাকে, আবার অনেকের বিশেষ কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে আগ্রহ থাকে। তাই আগে নিজে নিজে এই প্রশ্ন গুলোর জবাব খুজুনঃ
* আমি কি কোন বিশেষ দেশ/শহর/বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে আগ্রহী?
* আমার আর্থিক সামর্থ্যও একাডেমিক রেজাল্ট আমাকে কতটা flexibility দিবে?
* IELTS/TOEFL ইত্যাদি স্কোর করার জন্য আমি কতটা প্রস্তুত?
মনে রাখবেন, এই প্রশ্ন গুলোর জবাব আপনার ভবিষ্যত প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে বড় ভূমিকা রাখবে।

কলেজ/ইউনিভার্সিটি সিলেক্ট

প্রথম দুই ধাপ যদি আপনি পার হয়ে আসেন তাহলে আপনার কলেজ/ইউনিভার্সিটি সিলেক্ট করার পরিধি অনেক টাই ছোট হয়ে এসেছে। কোন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে ইন্টারনেট খুবই চমৎকার একটি মাধ্যম। সমস্যা যেটা হয় তাহলো ইন্টারনেটে ডেটার সমুদ্র থেকে নিজের প্রয়োজনমত তথ্যটি খুঁজেবের করাটা। তাই আপনাকে সাহায্য করতে আমারা এই ওয়েব সাইটটি কে এমন ভাবে সাজিয়েছি যেন আপনি স্বল্পতম সময়ে আপনার দরকারি তথ্যটি পেয়ে যান। আমাদের Study abroad সেকশনে বিভিন্ন দেশের কলেজ/ইউনিভা র্সিটির তথ্য পাবেন।

অ্যাপ্লিকেশন যোগ্যতা

সম্ভবতঃ আপনি পছন্দের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সিলেক্ট করে ফেলেছেন। এখন দেখতে হবে এদের চাহিদা (Requirements) গুলো কি কি এবং সে অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করে অ্যাপ্লিকেশন শুরু করতে হবে।
যা যা দেখতে হবে তার মাঝে অন্যতমঃ
• IELTS/GRE/TOEFL ইত্যাদি কোন স্কোর চায় এবং কত লাগবে?
• প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র কি কি লাগবে?
• অ্যাপ্লিকেশন ফী।
• কখন সেমিস্টার শুরু হয় এবং আবেদনের সময় সীমা।
স্কলারশীপের সুযোগ আছে কিনা ইত্যাদি।

ভর্তির আবেদন

সর্বশেষ ধাপ হল পছন্দের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদন পাঠানো। নিঃসন্দেহে ভর্তির আবেদন কাজটি খুবই গুরূত্বপূর্ণ এবং তা সতর্কতার দাবী রাখে। যদিও কাজটি খুব কঠিন কিছু নয়। নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মেনে, সঠিক সময় সীমার মাঝে, চাহীদা মাফিক ডকুমেন্টগুলো সংযুক্ত করলে আবেদন গৃহীত হবার সম্ভবনা বেড়ে যায়। উত্তম হল ডেড লাইন শেষ হবার ৪/৫ মাস আগেই এপ্লাই করা, এতে আপনার আবেদনটি সঠিক ভাবে প্রসেস হবে এবং আপনি অন্যান্য Requirement গুলো Fulfill করার পর্যাপ্ত সময় পাবেন।

এক্সিওম আপনার ক্যারিয়ার ও শিক্ষা কাউন্সিলিং, বৃত্তি, ভর্তি, ভিসাসহ সুবিধাজনক ও লাভজনক বাসস্থান সনাক্ত করার জন্য সহায়তা প্রদান করে থাকে। আপনার প্রয়োজন যাই হোক না কেন আমাদের এমন বিস্তৃত পরিষেবাগুলি বিনামূল্যে দিতে আমরা প্রস্তুত আপনার পাশে। আমাদের সাথে যোগাযোগ এর ঠিকানা

চীনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিরাট সুযোগ

বাংলাদেশে এমন অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা অনার্স শেষ করার পর কোনো ভালো চাকরি পাচ্ছেন না কিংবা প্রয়োজনীয় টাকা না থাকায় মাস্টার্সে ভর্তি হতে পাচ্ছেন না । আমার এই লেখা মূলত তাদের জন্য।  তবে উচ্চমাধ্যমিক পাস করা শিক্ষার্থীদেরও রয়েছে চীনে বিনা খরচে অধ্যয়নের সুযোগ ।

আমাদের দেশে অনার্স পাস একটা ছেলে বা মেয়ে সাধারণত ১২ থেকে ১৮ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করে থাকেন । আবার এই বেতনের চাকরিও প্রায় সোনার হরিণ । তাই অনেকে বাধ্য হয়ে ৮-১০ হাজার টাকার চাকরি পেলে তা না করে উপায় থাকে না । কিন্তু ঢাকা শহরে এই বেতনে চাকরি করে নিজের পড়ালেখা ও থাকা-খাওয়ার খরচ জোগানো প্রায় অসম্ভব ।

কিন্তু এই অবস্থা আর কত দিন? আপনার রেজাল্ট যদি ভালো থাকে কিংবা আপনার যদি IELTS বা TOFFEL সার্টিফিকেট থাকে তবে বিদেশে পড়ালেখা করার অফুরন্ত সুযোগ আপনার সামনে । শুধুমাত্র সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে আপনি পিছিয়ে আছেন ।

চীন সরকার প্রতি বছর হাজার হাজার বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিনা খরচে অধ্যয়নের সুযোগ দিয়ে থাকে । বিশেষ করে আমাদের দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকান শিক্ষার্থীদের । এমনকি মাস্টার্স, পিএইচডি ও চীনা ভাষা শিক্ষার শিক্ষার্থীদের মাসিক হাত খরচ হিসেবে প্রায় ৩৫-৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে । যা দিয়ে আপনি আপনার প্রয়োজনীয়তা মিটিয়ে প্রতি মাসে দেশে টাকা পাঠাতে পারবেন ।

Chinese Govt. Scholarship (CSC), Confucius Institute Scholarship (CIS), China-Bangladesh Exchange Scholarship, The Belt and Road initiative Scholarship, ২০১৭-১৮ সালের জন্য Under-graduate, Masters, Ph.D., General/Senior Scholar, Chinese Language কোর্সের জন্য শিক্ষার্থীদের আবেদন করার এখনই সময় ।

স্কলারশিপের পরিমাণ ও সুযোগ-সুবিধা

১. রেজিস্ট্রেশন ফি, ইনস্যুরেন্স ফি, টিউশন ফি ও হোস্টেল ফি স্কলারশিপের আওতায় থাকবে ।
২. Under-graduate-এর শিক্ষার্থীরা মাসিক কোনো খরচ পাবেন না ।
৩. মাস্টার্স ও ডক্টরেট লেভেলের শিক্ষার্থীদের জন্য মাসিক হাত খরচ হিসেবে যথাক্রমে ৩০০০ ইউয়ান ও ৩৫০০ ইউয়ান প্রদান করা হবে। (১ ইউয়ান=১২ টাকা) ।
৪. ল্যাবরেটরি ফি, ইন্টার্নশিপ ফি ও যাতায়াত খরচ নিজেদের বহন করতে হবে ।
৫. Confucius Institute Scholarship (CIS)-এর আওতায় শুধুমাত্র চীনা ভাষা শেখানো হয় । চার বছর মেয়াদি এই কোর্স করার সময় শিক্ষার্থীদের কোনো প্রকার রেজিস্ট্রেশন ফি, ইনস্যুরেন্স ফি, টিউশন ফি কিংবা হোস্টেল ফি দিতে হয় না । বরং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতি মাসে হাত খরচ হিসেবে ২৫০০ ইউয়ান এবং প্রতিবছর একবার করে দেশে আসার জন্য বিমান টিকিট দিয়ে থাকে । এই কোর্সের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে চাকরির নিশ্চয়তা । চার বছর মেয়াদি কোর্স শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই Confucius Institute ভালো বেতনের চাকরি প্রদান করে থাকে ।

নোট: কমপক্ষে HSK LEVEL-2 (চীনা ভাষার ওপর এক ধরনের পরীক্ষা, অনেকটা IELTS-এর মতো) পাস করতে হবে ।

স্কলারশিপের শর্তাবলি

১. চীন ব্যতীত অন্য যেকোনো দেশের নাগরিক হতে হবে।  অবশ্যই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে ।
২. অন্য কোনো স্কলারশিপ বা ফান্ডিংয়ের জন্য মনোনীত হওয়া যাবে না ।
৩. স্নাতক প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য উচ্চমাধ্যমিক পাস ও বয়স অবশ্যই ২৫-এর চেয়ে কম হতে হবে ।
৪. মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য স্নাতক ডিগ্রিধারী ও বয়স অবশ্যই ৩৫-এর চেয়ে কম হতে হবে ।
৫. ডক্টরেট প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য মাস্টার্স ডিগ্রিধারী ও বয়স অবশ্যই ৪০-এর চেয়ে কম হতে হবে ।
৬. General Scholar প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য ন্যূনতম ২ বছরের স্নাতক ডিগ্রিধারী ও বয়স অবশ্যই ৪৫-এর চেয়ে কম হতে হবে ।  Senior Scholar প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য মাস্টার্স ডিগ্রিধারী অথবা সহযোগী অধ্যাপক (অথবা তার ওপরে) ও বয়স অবশ্যই ৫০-এর চেয়ে কম হতে হবে ।
৭. জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে স্কলারশিপের রেজাল্ট প্রকাশ করে থাকে ।
৮. Chinese Govt. Scholarship (CSC)–এর জন্য প্রায় MOE লিস্টেড ২৭৯টি ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করা যায় ।
৯. একজন শিক্ষার্থী একটার বেশি স্কলারশিপের জন্য মনোনীত হবেন না ।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

১. অ্যাপ্লিকেশন ফরম ।
২. পাসপোর্ট ।
৩. পাসপোর্ট সাইজ ছবি ।
৪. সকল একাডেমিক সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্টের নোটারাইজ কপি ।
৫. স্টাডি প্ল্যান ।
৬. রিকোমেন্ডেশন লেটার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন প্রফেসরের কাছ থেকে রিকোমেন্ডেশন লেটার বা সুপারিশপত্র নিতে হবে ।
৭. মেডিকেল রিপোর্ট ।
৮. IELTS বা TOFFEL সার্টিফিকেট (যদি থাকে) ।
নোট: বয়স গণনার ক্ষেত্রে তার

🏠 আমাদের ঠিকানা:
*****************
এক্সিওম এডুকেশন গ্রুপ
আনাম র‌্যাংগস প্লাজা , ৫ম তলা
( লিফট-৪), রোড নং-৬/এ, (সাতমসজিদ রোড), ধানমন্ডি, ঢাকা ।
📧 info@studyabroadonline.com
🌐 www.studyabroadonline.com
👍 www.fb.com/AxiomEducationGroup

কানাডা ইম্মিগ্রেশন

মাত্র 35 মিলিয়ন জনসংখ্যার কানাডা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ- সেরা শিক্ষা, একটি স্থিতিশীল অর্থনীতি, শহুরে নিরাপত্তা, সমতা এবং বিশ্বের সবচেয়ে অভিবাসী-বান্ধব জাতি।

উত্তর আমেরিকার উন্নত দেশ কানাডায় সহজ অভিবাসনের অবারিত সুযোগ তৈরি হয়েছে।  এ বছর সারাবিশ্বের প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ বসবাস, কাজ ও স্থায়ী নাগরিকত্বের সুযোগ পাচ্ছেন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই দেশটিতে।  দেশটিতে আগামী বছর থেকে এ সুযোগ আরো ৫০ শতাংশ হারে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

আপনি যদি কানাডা মাইগ্রেট করার পরিকল্পনা করেন, তাহলে এক্সিওম এর Immigration এক্সপার্ট ব্যারিস্টার এর মাধ্যমে আপনার স্কোপগুলি মূল্যায়ন করতে আজই যোগাযোগ করুন।

নিবন্ধনের জন্য কল করুন: 📞 01646102130-1 (10am to 7pm)

এক্সিওম আপনাকে মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রসেসিং সময়, ডকুমেন্টেশন প্রস্তুতি সিস্টেম, মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রয়োজনীয় বিষয় গুলো এবং কানাডা ইম্মিগ্রেশন সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান পেতে সহায়তা করবে।

🏠 আমাদের ঠিকানা:
*****************
এক্সিওম এডুকেশন গ্রুপ
আনাম র‌্যাংগস প্লাজা , ৫ম তলা
( লিফট-৪), রোড নং-৬/এ, (সাতমসজিদ রোড), ধানমন্ডি, ঢাকা।
📧 info@studyabroadonline.com
🌐 www.studyabroadonline.com
👍 www.fb.com/AxiomEducationGroup

কানাডার ১১টি প্রদেশে অভিবাসনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে প্রচলিত বিভিন্ন প্রোগ্রামের আওতায়। এগুলোর ভেতর আবেদনকারীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে এফএসডাব্লিই (FSW) ও এক্সপ্রেস এন্ট্রি (Express Entry) প্রোগ্রাম। তাছাড়া বিপুলসংখ্যক লোকজন বিভিন্ন প্রভিনশিয়াল নামিনেশন প্রোগ্রাম (PNP) এর মাধ্যমেও কানাডায় পাড়ি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এছাড়া ফ্যামিলি স্পন্সরশিপ ও সেলফ এমপ্লয়েড ক্যাটাগরিতেও দেশটিতে অভিবাসনের সুযোগ নেওয়া যাচ্ছে।

এই অভিবাসন প্রত্যাশীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এশিয়ার। বাংলাদেশিরাও কিছু সহজ নিয়ম অনুসরণ করে এ সুযোগ নিতে পারেন।

👍 ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রভিশনাল প্রোগ্রাম (BCPP)

আইইএলটিএস এ ৫.৫ সহ ২ বছর কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা শুধু গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি থাকলেই কানাডার এই প্রদেশে বসবাসের আবেদন করতে পারবেন।

● এই প্রোগ্রাম চার ক্যাটাগরিতে বিভক্ত এগুলো হলো :

১) এক্সপ্রেস এন্ট্রি বিসি-স্কিলড ওয়ার্কার,
২) ইন্টারন্যাশনাল গ্রাজুয়েট এবং স্কিল ইমগ্রেশন,
৩) স্কিলড ওয়ার্কার,
৪) এন্ট্রি লেভেল সেমি স্কিলড।

👍 সমৃদ্ধ সাসকাচেওয়ানে অভিবাসন (SINP) :

সাসকাচেওয়ান (Saskatchewan) কানাডার সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী প্রদেশ। এখানে কিছু বিশেষ পেশাজীবী চাইলেই অতি সহজে স্থায়ী নাগরিকত্ব নিতে পারেন। আপনি যদি কম্পিউটার সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার বা অ্যানালিস্ট হন, অথবা এনজিও কর্মকর্তা/সোশ্যাল ওয়ার্কার/প্রজেক্ট ম্যানেজার বা কৃষি ব্যবস্থাপক/কৃষি কর্মকর্তা তাহলে এ প্রদেশে অভিবাসনের সুযোগ নিতে পারেন।

এজন্য কেবল প্রয়োজন হবে ২ বছরের কাজের অভিজ্ঞতাসহ ন্যুনতম ৫.৫ আইইএলটিস স্কোর। সাপ্লাই চেইন, পারচেজ ম্যানেজার, মার্টেনডাইজার, গণিত বা পরিসংখ্যানবিদ অথবা সিভিল ও ম্যাকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার হলেও এপ্র্রোগ্রামের সুযোগ নিতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে গ্রাজুয়েট হতে হবে।

👍 এক্সপ্রেস এন্ট্রি (Express Entry):

কানাডায় অভিবাসনের এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রামের সর্বশেষ ড্র অনুষ্ঠিত হয় গত ১৯ অক্টোবর। এতে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অধিক সংখ্যক মানুষ অভিবাসনের জন্য আবেদনের অনুমতি পান। আপনিও যদি কানাডা অভিবাসন প্রত্যাশী হয়ে থাকেন তাহলে আজই এক্সিওম এর সাথে যোগাযোগ করুন।

কানাডা immigration সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্ক এ ক্লিক করুন:

ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষা

ফ্রান্স পশ্চিম ইউরোপের দেশ । বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিক্ষা, সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ এদেশের খ্যাতি বিশ্ব জুড়ে । উন্নত জীবন যাত্রা, শক্তিশালী অর্থনীতি ও মান সম্মত সময়োপযোগী শিক্ষার পরিবেশ বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করে এদেশে উচ্চশিক্ষা লাভ করতে ।

কোর্স প্রোগ্রাম

১. ডিপ্লোমাপ্রোগ্রাম,
২. এসোসিয়েটডিগ্রি,
৩. ব্যাচেলরডিগ্রি,
৪. র্গ্যাজুয়েটডিপ্লোমাডিগ্রি,
৫. মাস্টারডিগ্রি এবং
৬. ডক্টরডিগ্রি।

ভর্তির সেশন

ফ্রান্সে বছরে তিন সেমিস্টারে পড়ালেখা করানো হয় ।
১. সেমিস্টার এক – সেপ্টেম্বর/অক্টোবর,
২. সেমিস্টার দুই জানুয়ারি/ফেব্রুয়ারি এবং
৩. সেমিস্টার তিন – মে/জুন ।

পড়ার বিষয়

ফ্রেঞ্চ ল্যাংগুয়েজ এন্ড লিটারেচার, হিস্ট্রি, ইংলিশ, ফিলোসফি, সোশাল সায়েন্স, পলিটিকাল সায়েন্স, সোসিওলজি, ল, ইকোনোমিক্স, চাইল্ড এন্ড ফেমিলিস্টাডিস, পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন, বিজনেস অ্যাড মিনেসট্রেশন, ম্যানেজমেন্ট, একাউনটেন্সি, ম্যাথমেটিক্স, ফিজিক্স, জিওফিজিক্স, এপ্লাইডফিজিক্স, এস্ট্রোনমি, কেমিস্ট্রি, এপ্লাইডকেমিস্ট্রি, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োলজি, ই-বিজনেস, কনভেনশন ইন্ডাস্ট্রি, ফুড এন্ড নিউট্রিশন, হিউ ম্যানইকোলজি, ফুড সার্ভিস মেনেজমেন্ট, ট্যুরিজম মেনেজমেন্ট, হোটেলমেনেজমেন্ট, কলিনারিসায়েন্স এন্ড আর্টস, জিওগ্রাফি, ইনফরমেশন ডিসপ্লে, মেডিকাল সায়েন্স, ফার্মাসিউটি কালসায়েন্স, ইলেকট্রনিক মেটেরিয়াল্‌স ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, ক্লোথিং এন্ড টেক্সটাইল, সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেক চার, ওরিয়েন্টাল ফার্মাসিউটিকাল সায়েন্স, ওরিয়েন্টাল মেডিসিন, ডেন্ট্রিস্টি, স্কুল অব নার্সিং সায়েন্স, হাউজিং এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন, ডিজাইন ক্রাফট, থিয়েটার এন্ড ফ্লিম, ক্রিয়েটিভ রাইটিং, ইনস্ট্রুমেন্টাল মিউজিক, কম্পোজিশন, ভয়েজ, ফাইনআর্টস, কোরিয়ান পেইন্টিং, ড্রয়িং এন্ড পেইন্টিং, স্কাল্পচার, ডেন্স, মডার্ণডেন্সিং, বেলেট প্রভৃতি বিষয় সমূহ পড়া যায় ।

পড়ালেখার মাধ্যম

ফ্রান্সে পড়ালেখার প্রধান ভাষা হলো ফ্রেঞ্চ ভাষা । তবে ইংরেজিতেও পড়ালেখা করা যায় । এজন্য শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ইংরেজি জানা থাকতে হবে । এক্ষেত্রে আইই এলটি এস বা টোফেল করা থাকলেও চলবে । আন্ডার গ্রাজুয়েটের জন্য ৫.০- ৫.৫ আইই এলটিএস এবং ৫৫০ টোফেল স্কোর এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের জন্য সাধারনত ৬.০ আইই এলটি এস এবং ৬০০ টোফেলস্কোর দরকার হয় ।

পড়াশোনার খরচ

অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায় ফ্রান্সে টিউশন ফি অনেক কম । সাধারণতঃ টিউশন ফি নির্ভর করে কোর্স এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর । শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভেদে টিউশন ফি বছরে ৮০০-২৫০০ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে ।

থাকা-খাওয়ার খরচ

বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাসে হোষ্টেল রয়েছে । তবে কেউ ইচছা করলে ভাড়া বাড়িতে বা পেয়িং গেষ্টহিসাবে ও থাকতে পারবে । থাকা খাওয়া ও অন্যান্য ব্যায়সহ একজন শিক্ষার্থীর মাসে ৪০০-৬০০ ইউরোর বেশী লাগেনা ।  মেডিকেল ইন্স্যুরেন্স কভারের জন্য মাসে ৪২ ইউরো দিতে হয় ।

কাজের সুযোগ

ফুলটাইম কোর্সের শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজ করতে পারবে । তবে ছুটি ও অব সরকালীন সময় ফুলটাইম কাজ করা যায়। মাসে প্রায় ৮০০-১০০০ ইউরো আয় করা যায় ।

ভর্তির জন্য আবেদন

ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করতে হলে শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস হতে হবে । ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীকে সেশন শুরুর কম পক্ষে ১০-১২ সপ্তাহ পূর্বে আবেদন করতে হয় । এদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো সাধারণত সেপ্টেম্বরের দিকে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে । এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেওই বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি অথবা ওয়েব সাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ ও ভর্তির আবেদন করতে হবে । আবেদন করার ১০-১৫ দিনের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অফার লেটার চলে আসে । আবেদন কারী যোগ্য বলে বিবেচিত হলে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই শিক্ষার্থীকে জানিয়ে দেয় ।

ভিসার জন্য আবেদন

অফার লেটার আসার পর প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র যেমন – শিক্ষাগত যোগ্য তার সকল মার্কশীট এবং সার্টিফিকেট, স্পন্সরেরবৃত্তান্ত (ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং আয়ের উৎস), পাসপোর্ট, ছবি, বার্থ সার্টিফিকেট, আইই এলটি এস বা ইংলিশ প্রফিসিয়েন্সির সার্টিফিকেট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ইত্যাদি কাগজপত্র সহ ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় । ভিসার জন্য আবেদনকারীকে সব কাগজপত্র সহ দেশে অবস্থিত ফ্রান্স দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হয় । তবে এক্ষেত্রে সাধারণত স্টাডিভিসার জন্য ফ্রেঞ্চ জানা এবং ভালো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া ও আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ দেখাতে পারলে সহজেই ভিসা পাওয়া যায় । ভিসা ফি ৯৯ ইউরো ।

স্পন্সর

ভিসার জন্য শিক্ষার্থীর প্রথম রক্তের সম্পর্কের অভিভাবক স্পন্সর হলে ভিসা পাওয়া অনেকটা সহজ হয় । তবে শিক্ষার্থীর অন্য যেকোন অভিভাবক স্পন্সর করতে পারবে ।

ফ্রান্সের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইট

1. University of Haut Alsace – www.uha.fr

2. University Strasbourg Louis Pasteur – www.ulp.u-strasbg.fr

3. University Robert Schuman – www.urs.u-strasbg.fr

4. University of Toulon – www.univ-tln.fr

5. University of Auvergne – www.u-clermont1.fr

6. University of Toulouse – www.univ-tlse1.fr

7. University of Franche Comte – www.univ-fcomte.fr

 

কেন বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও ইমিগ্রেশন প্রয়োজন এ এক্সিওম বেচে নিবেন?

এক্সিওম ২০০৩ সাল থেকে ৫০০০ এর ও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে এবং তাদের পরিবারগুলিকে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পুরুনের জন্য সঠিক ও উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান ও দেশ খুঁজে পেতে সহায়তা করেছে । এক্সিওম ইউ এস, কানাডা, ইউ কে, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া, চীন, জাপান, জার্মানী, ফ্রান্স, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, সুইডেন সহ বিশ্বের প্রায় ৩৫০ টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসাবে ভর্তি ও ভিসা সহযোগিতা ও ফ্রী পরামর্শ দিয়ে থাকে । এক্সিওম একজন শিক্ষার্থীর ব্যাক্তিগত যোগ্যতা,আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী সেরা পরামর্শ ও সেবা নিশ্চিত করে।

এক্সিওম এর সেবা অন্তর্ভুক্ত:

কোর্স এবং বিশ্ববিদ্যালয নির্বাচন ।
ভর্তি আবেদনপত্র জমাদান ও ভর্তি নিশ্চিত করণ ।
স্কলারশিপ পেতে সাহায্য করা ।
ভিসা প্রক্রিয়ায় পরামর্শদান ।
টিউশন ফি পেমেন্ট এ সহায়তা ।
যাতায়ত ও আবাসন এর সাশ্রয়ী ও ঝামেলা মুক্ত ব্যাবস্থা করা ।

এক্সিওম আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সেবাদান নিশ্চিত করার লক্ষে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক কাউন্সেলিং থেকে শুরু করে কাঙ্খিত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌছা পর্যন্ত সমগ্র প্রক্রিয়াটির জন্য বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং অভিজ্ঞ একজন পরামর্শদাতা নিযুক্ত থাকে। আপনার বিদেশে উচ্চ শিক্ষা বা ইমিগ্রেশন প্রয়োজনে ফ্রী পরামর্শ করতে সরাসরি সাক্ষাত করুন এক্সিওম অফিস বা এপয়েন্টমেন্ট এর জন্য-কল করুন: ০১৬৪৬১০২১৩০-১
(সকাল ১০টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত, শনি – বৃহস্পতিবার)

ফিনল্যান্ড উচ্চশিক্ষা

দেশটি সম্পর্কে

উত্তর ইউরোপের নরডিক দেশগুলোর একটি দেশ হলো ফিনল্যান্ড। ইউরোপ মহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে বিভিন্ন কারণেই এদেশটি বিখ্যাত । তবে সাধারণ বাংলাদেশিদের অনেকের কাছেই নকিয়ার জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত এদেশ । ফিনিস ভাষায় ফিনল্যান্ডকে বলা হয় ‘সুওমি’(Suom)। ‘সুওমি’ শব্দের অর্থ ‘হ্রদ ও দ্বীপভূমির দেশ’। ফিনল্যান্ড হচ্ছে ‘হ্রদ’ আর ‘দ্বীপ’-এর দেশ- হ্রদের সংখ্যা ৬০,০০০ আর দ্বীপের সংখ্যা ৬,৫০০। সবচেয়ে বড় হ্রদের নাম ‘সায়মা’। সায়মার আয়তন ৪,৪০০ বর্গকিলোমিটার । বেশিরভাগ হ্রদের আয়তন ২৫ বর্গকিলোমিটারের বেশি নয়। বেশিরভাগ এলাকা সমতল হলেও বেশ কিছু পাহাড়ও রয়েছে এদেশে।

আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে ফিনল্যান্ড ৬৫তম আর ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ৮ম। মোট আয়তন ৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৪৫ বর্গকিলোমিটার । ২০০৮ সালের হিসেব অনুযায়ী জনসংখ্যা ৫৩ লাখ ২ হাজার ৭৭৮ জন। জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে দেশটি ১১১ নম্বরে রয়েছে ।

২০১০ সালের হিসেব অনুযায়ী ফিনল্যান্ডে প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব মাত্র ১৬, যেখানে বাংলাদেশে ১১৪৩ জন মানুষ বসবাস করে । ফিনল্যান্ডের পশ্চিমে সুইডেন, পূর্বে ও দক্ষিণে রাশিয়া, উত্তরে নরওয়ে এবং দক্ষিণের অংশ বিশেষ ফিনল্যান্ড উপসাগরের দ্বারা পরিবেষ্টিত। মাথাপিছু আয় ৩৪,৮১৯ মার্কিন ডলার হলেও এদেশের জাতীয় আয় জনসংখ্যার চাইতেও দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে ।

ঐতিহাসিকভাবে এদেশের লোকেরা সপ্তম শতাব্দীতে রাশিয়ার ভোলগা নদীর অববাহিকা থেকে এই অঞ্চলে এসেছিল । এক সময় ফিনল্যান্ড ছিল সুইডেনের অংশ । সেকারণে এদেশে এখনও সুইডিশ ভাষা ও সংস্কৃতির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় । দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৭ শতাংশ এখনও সুইডিশ বংশোদ্ভুত ও সুইডিশ ভাষায় কথা বলে । ১৮০৯ সাল থেকে ১৯১৭ সালের শেষভাগ পর্যন্ত ফিনল্যান্ড রুশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর ফিনল্যান্ড নিজেকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে । তাই দেশটির স্থাপত্যে রাশিয়ান প্রকৌশলের ছাপ সুস্পষ্ট।

পৃথিবীর যে কয়টি দেশের ভূ-ভাগ নিয়মিতভাবে বেড়ে চলেছে তার মধ্যে ফিনল্যান্ড একটি দেশ যার ভূমি প্রতি বছর প্রায় ৭ বর্গকিলোমিটারের মতো বৃদ্ধি পাচ্ছে । বিজ্ঞানীরা বলেন, বরফযুগের পরের সময় থেকে প্রতিনিয়ত ফিনল্যান্ডের উপরিভাগের বরফের স্তর হালকা হয়ে আসছে যার ফলে জেগে উঠছে ভূ-ভাগ। এদেশের মোট জমির মাত্র ৭ শতাংশ চাষাবাদ হয়ে থাকে। দেশের প্রধান অর্থকরী ফসল হচ্ছে বার্লি, যব এবং গম হলেও সারাদেশে আলু ও সুগার বিট জন্মে। আর রয়েছে হাঁসমুরগি, গরুবাছুর, ভেড়া ও শূকরের খামার। তাছাড়া দেশে প্রায় ৪ লাখ ১৪০০০ পোষা বলগা হরিণ রয়েছে । দেশের উত্তর অঞ্চলে যেখানে জনবসতি কম, সেখানে ভালুক, নেকড়ে, বনবিড়াল এবং মেরুশিয়াল দেখতে পাওয়া যায় ।

বনজ সম্পদ ফিনল্যান্ডের অর্থনীতির প্রধান ভিত্তি । প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে যেখানে একটি দেশের ২৫ ভাগ এলাকায় বনভূমি থাকা দরকার, সেখানে ফিনল্যান্ডের ৭২ ভাগই হচ্ছে বনভূমি। এদেশের বনাঞ্চলে ১২০০ প্রজাতির গাছপালা এবং লতাগুল্ম আছে। তাই এদেশের প্রধান প্রাকৃতিক সম্পদ কাঠ । ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে এদেশের বন এবং কাঠ চেরাই কারখানা সবচাইতে বিখ্যাত । কাঠের গুড়ি চালি বেঁধে নদীপথে ভাসিয়ে উপকূলীয় এলাকার করাত কলগুলোতে নিয়ে যাওয়া হয় । কলকারখানায় নানাবিধ কাঠের পণ্য তৈরি করে বিভিন্ন দেশে রপ্তানী করা হয় । এসব রপ্তানী সামগ্রীর মধ্যে আছে কাগজ, মন্ড, নিউজপ্রিন্ট, বোর্ড, প্লাইউড ইত্যাদি। এ থেকে দেশের মোট রপ্তানী আয়ের ৪০ শতাংশ আসে যা দিয়ে প্রয়োজনীয় নানা পণ্য আমদানী করা হয়ে থাকে। আমদানী পণ্যের মধ্যে আছে পেট্রোলিয়াম, রাসায়নিক দ্রব্য, যন্ত্রপাতি, গাড়ির যন্ত্রাংশ, লোহা, ইস্পাত, খাদ্য এবং বস্ত্রসামগ্রী।

ফিনল্যান্ড একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র । তাই বেকার, অসুস্থ, অক্ষম এবং বৃদ্ধদেরকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেই সার্বিক সহযোগিতা করা হয় । যুদ্ধাহতদের জন্য রাষ্ট্র ক্ষতিপূরণ প্রদান করে । রাষ্ট্রের নাগরিকদের কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া প্রতিটি পৌর এলাকায় রয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র যার ব্যয় রাষ্ট্রই বহন করে থাকে। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে বিদেশীদেরকে তাদের ঔষধপত্র ও চিকিৎসার খরচ বহন করতে হয়। এদেশে প্রতি ১০০০ মানুষের জন্য রয়েছে ৬৯৩টি টেলিভিশন এবং ১৬২৬টি রেডিও । সারাদেশে ৫৫টি দৈনিক পত্রিকা ও নিয়মিতভাবে অসংখ্য সাময়িকী প্রকাশিত হয় । এদেশের মানুষ বই পড়তে খুব ভালবাসে। তাই সারাদেশে দেড় হাজারেরও বেশি লাইব্রেরি রয়েছে । ১৮৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হেলসিংকি লাইব্রেরীতে প্রায় ২১ লক্ষ বই রয়েছে । হেলসিংকি বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরী হচ্ছে জাতীয় লাইব্রেরী। এখানে বইয়ের সংখ্যা ২৬ লক্ষ । ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি রয়েছে ফিনিসদের বেশ আগ্রহ । তাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৩০০ জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে দেশের নানা স্থানে।

যদিও ফিনল্যান্ডের আয়তন যুক্তরাজ্যের সমান, আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে এখানে বসবাস করে মাত্র অর্ধ কোটি মানুষ। রাষ্ট্রীয়ভাবে ফিনিস ও সুইডিস ভাষা এদেশের রাষ্ট্র ভাষা । কিন্তু এখানে রাশিয়ান ও আরবী বহাল তবিয়তে স্থান করে নিয়েছে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে । সাম্প্রতিক সময়ে ব্যবসায়িক ও একাডেমিক যোগাযোগের কারণে জাপানী ভাষাভাষী লোকের সরব উপস্থিতি লক্ষ্যনীয়। তাই বেশির ভাগ ফিনিস নাগরিকই কমপক্ষে ৩টি ভাষায় কথা বলতে সক্ষম। কারণ ইংরেজীও এখানে আন্তজার্তিক ভাষা হিসেবে নিজের স্থান করে নিয়েছে। এদেশ জার্মানী কিংবা ইতালীর মতো নয়, এখানে সর্বত্রই ইংরেজীর প্রচলন আছে। তাই ফিনিস কিংবা সুইডিস না জেনেও আপনি দিব্বি আপনার দৈনন্দিন কাজকর্ম সেরে নিতে পারবেন।

শিক্ষাব্যবস্থা

শিক্ষা একটি জন্মগত অধিকার ও রাষ্ট্রকর্তৃক প্রদত্ত সেবা হিসেবে বিবেচিত হয় ফিনল্যান্ডে । ফিনল্যান্ড ৭ থেকে ১৬ বছর বয়সী ছেলেমেয়েরা বিনামূল্যে শিক্ষা লাভ করে। প্রাথমিক স্কুলে ৬ বছর এবং মাধ্যমিক স্কুলে ৩ বছর লেখাপড়া করা সবার জন্য বাধ্যতামূলক । গবেষণায় ফিনল্যান্ডের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিশ্বের শিক্ষাছকের শীর্ষে অবস্থান করছে। গবেষণার ফলাফল ভাষা, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়াবলীর ভিত্তিতে হয়েছে।

উচ্চশিক্ষার জন্য ফিনল্যান্ডে অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়, অসংখ্য কলেজ এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণ স্কুল রয়েছে । ইউরোপের যে দেশেগুলোতে টিউশন ফি ছাড়া উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা যায় তাদের একটি ফিনল্যান্ড। তাই এদেশে প্রতি বছর এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। তবে তাদের বেশিরভাগই স্নাতক পর্যায়ের বিভিন্ন প্রোগ্রামে ভর্তি হয়। এদেশে বিভিন্ন ভাষা শিক্ষার বিশেষ সুযোগ রয়েছে । ফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় ভতি আবেদনেরর্ জন্য https://goo.gl/iFtoap এ ওয়েবসাইটে এদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা তথ্য পাওয়া যাবে। তাছাড়া এ নিবন্ধের শেষের দিকে এদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম ও তাদের ওয়েব এড্রেসগুলো দেয়া আছে। তা থেকে সরাসরি যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়বেসাইটে যেতে পারেন।

আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রভাষা দুটো- ফিনিশ আর সুইডিশ । তবে বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিনিশ ভাষায় পড়াশোনা করতে হয়। সে জন্য বিশেষ করে স্নাতক স্তরের পড়াশুনার জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের ফিনিশ বা সুইডিশ ভাষার ওপর ভালো দক্ষতা থাকতে হবে। তবে একজন বিদেশীকে অবশ্যই প্রাথমিক ভাষা দক্ষতা হিসেবে ইংরেজি জানতে হবে, নচেত সমস্যায় পড়তে হবে।

উচ্চশিক্ষার কাঠামো ও স্তর বিন্যাস

উচ্চশিক্ষার জন্য ফিনল্যান্ডে ২৭ টি ফলিত বিজ্ঞানের (Applied Sciences) এবং ১৬টি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে । ফলিত বিজ্ঞানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মূলত পলিটেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় । এদেশে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে হেলসিংকি বিশ্ববিদ্যালয় সবচাইতে বড় । ১৬৪০ সালে স্থাপিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৮২৮ সালে দেশের রাজধানী হেলসিংকিতে স্থানান্তরিত হয়। ২৭ টি ফলিত বিজ্ঞানের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৪ টিতে একাডেমিক লেখাপড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। তন্মধ্যে ৫টি ফলিত বিজ্ঞানের বিশ্ববিদ্যালয় রাজধানী হেলসিংকি এলাকায় অবস্থিত । সেগুলো হল আরকাডা (Arcada), হাগা-হেলিয়া (Haaga-Helia), হেলসিংকি মেট্রোপোলিয়া (Helsinki Metropolia), ডায়াকনিয়া (Diaconia) এবং লাউরিয়া (Laurea)।

ফিনল্যান্ডের উচ্চশিক্ষার কাঠামো ২ স্তরে বিভক্ত।
স্নাতক স্তর (Undergraduate Level) ও
স্নাতকোত্তর স্তর (Postgraduate Level)।
স্নাতককোত্তর ২ স্তরে বিন্যাস্ত- মাস্টার্স ও ডক্টোরাল।
উচ্চশিক্ষার এ দু’স্তরে যেসব ডিগ্রি অর্জন করা যেতে পারে, সেগুলো হলো- ক) ব্যাচেলর ডিগ্রি, খ) মাস্টার ডিগ্রি এবং গ) ডক্টরেট বা পিএইচডি ডিগ্রি।

মাস্টার্স করতে দেড় থেকে দুই বছর লাগে আর ১২০ ক্রেডিট সম্পপন্ন করা লাগে। কিন্তু যে কেউ চাইলে বেশি সময় ও নিতে পারে। তবে চার বছরের মধ্যেই মাস্টার্স কোর্স শেষ করতে হবে। সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দুই বছরের মধ্যে মাস্টার্স কোর্স শেষ করার জন্য উৎসাহ দিয়ে থাকে । আর ডক্টোরাল কোর্সের ক্ষেত্রে সাধারণ সময় লাগে তিন থেকে ছয় বছর। ফিনল্যান্ডে ডক্টোরেট করতে হলেও ইংরেজী ভাষায় দক্ষতা অবশ্যই থাকতে হবে। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়েই ডক্টোরাল কোর্সে ভর্তি হতে হলে অবশ্যই আইইএলটিএস (IELTS) স্কোর অথবা আর সমমানের ইংরেজী ভাষা কোর্সের সার্টিফিকেট থাকতে হবে । স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তির জন্য সাধারণ সর্বনিম্ন আইইএলটিএস স্কোর ৬.৫ দরকার। এদেশে ডক্টোরাল কোর্সে ভর্তির জন্য সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে পছন্দের বিষয়ের শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। তারাও ভর্তি সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করতে পারেন।

এদেশেও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের মতোই দুই সেমিস্টারে পড়াশুনা পরিচালিত হয়। প্রথম সেমিস্টার হলো:
শরৎকালীন (Autum) সেমিস্টার- আগস্ট থেকে ডিসেম্বর ।
বসন্তকালীন (Spring) সেমিস্টার- জানুয়ারি থেকে জুলাই।
একটি বিষয় উল্লেখ করা দরকার যে, ফিনল্যান্ডে ব্যাচেলর বা মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য বয়স কোন বাধা নয়। যে কোন বয়সেই ভর্তির জন্য আবেদন করা যায়।

যেসব বিষয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ রয়েছে

সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতক পর্যায়ের দু’একটি প্রোগ্রাম ইংরেজী মাধ্যমে হলেও বেশীর ভাগ কোর্সই ফিনিস কিংবা সুইডিশ ভাষায় হওয়ায় এবং ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয় বলে বিদেশী শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ কিছুটা সীমিত। তবে কেউ যদি ফিনিস কিংবা সুইডিস ভাষায় পারদর্শী হয় তবে তার জন্য স্নাতক পর্যায়ে রয়েছে শিক্ষার অবারিত সুযোগ। অন্যদিকে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, বিশেষ করে ফলিত বিজ্ঞানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিনিস ভাষার পাশাপাশি ইংরেজী ভাষায়ও বেশ কয়েকটি ব্যাচেলর প্রোগ্রাম চালু রয়েছে।

তবে কোন কোন ফলিত বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী মাধ্যমের কোর্সগুলোতে বিদেশীদেরকে টিউশন ফি দিতে হয়। তাই আবেদন করার সময় ভালোভাবে জেনে বুঝে আবেদন করা উচিত ।

স্নাতক স্তর

এদেশের অধিকাংশ স্নাতক কোর্সই কর্মদক্ষতা তথা পলিটেকনিক ভিত্তিক। পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, এখানে স্নাতক স্তরে ভর্তি হওয়ার জন্য ভর্তি পরিক্ষা দিতে হয়। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হয়। আবেদনপত্র পূরণের সময় পছন্দের ক্রমানুসারে ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নির্বাচন করা যায় । স্নাতক কোর্সে ভর্তির জন্য টোফেল (TOEFL)-এ ৫৫০ স্কোর কিংবা আইইএলটিএস (IELTS)-এ কমপক্ষে ৬.০ স্কোরসহ এইচএসসি বা এর সমমান শিক্ষাগত যোগ্যতার যেকোন ব্যক্তি আবেদন করতে পারবে।

আবেদনের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়

আবেদন করার সময় একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ চারটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চারটি বিষয় পছন্দ করতে পারবে। তবে যেহেতু দুটোর বেশি বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়, সেই জন্য এক ও দুই নম্বর পছন্দের তালিকায় একটি বিষয় ও দুটি ভিন্ন ভিন্ন ইউনিভার্সিটি এবং তিন ও চার নম্বর পছন্দের তালিকায় আরেকটি বিষয় ও দুটি ভিন্ন ভিন্ন ইউনিভার্সিটি পছন্দ করলে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।

অনলাইনে আবেদন করার পর এসএসসি, এইসএসসি-এর মার্কশীট, সার্টিফিকেট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রসহ যে বিশ্ববিদ্যালয়টি পছন্দের তালিকায় প্রথম থাকবে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি অফিসের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিতে হবে। তারপর ঐ বিশ্ববিদ্যালয় আবেদনকারীকে ভর্তি পরিক্ষার তারিখ ও সময় জানিয়ে ইমেইল করবে কিংবা চিঠি পাঠাবে।

ভর্তি পরীক্ষায় সাধারণত সাধারণ গণিত, আইকিউ (IQ), বিশ্লেষণাত্মক প্রশ্ন (Analytic Questions) এবং বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন থাকে। ভর্তি পরিক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের উপর ভিত্তি করে পছন্দের ক্রমানুসারে যে কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়। ভর্তি পরীক্ষা সাধারণত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে হয়ে থাকে। আর অনলাইন আবেদন করার শেষ সময় সাধারণত ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ।

যে সব বিষয়ে পড়াশুনার সুযোগ রয়েছে

স্নাতক ডিগ্রীর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কোর্স হচ্ছে:

বয়বৃদ্ধি ও বৃদ্ধত্বকালীন সেবা (Human Ageing and Elderly Service),

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য (International Business),

প্লাস্টিক প্রযুক্তি (Plastic Technology),

তথ্য প্রযুক্তি (Information Technology),

পরিবেশ প্রকৌশল (Environmental Engineering),

নার্সিং (Nursing),

সামাজিক সেবা (Social Services),

ভ্রমণ ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনা (Tourism and Hospitality Management),

বাণিজ্য তথ্য প্রযুক্তি (Business Information Technology) এবং ইলেকট্রোনিক্স (Electronics)।

স্নাতকোত্তর

স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তির জন্য সাধারণত কোন ভর্তি পরীক্ষা দিতে হয় না। অনলাইনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের যোগ্যতা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নির্ধারিত ঠিকানায় পাঠিয়ে দিতে হবে। এরপর ভর্তির জন্য বিবেচিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় চিঠি কিংবা মেইল দিয়ে জানাবে। এমনকি অফার লেটার পেলে প্রয়োজনে ১ বছরের জন্য ভর্তি ডেফার/পোস্টপন্ড করা যায়।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

স্নাতকোত্তর স্তরে আবেদন করতে সাধারণত আবেদনপত্রের সাথে- একটি আগ্রহপত্র (Motivation Letter) কিংবা অধ্যয়নের উদ্দেশ্যের বিবৃতি (Statement of Purpose); দু’টো প্রত্যায়নপত্র (Reference Letters)- সাধারণত শিক্ষকদের কাছ থেকে; টোফেল/আইইএলটিএস স্কোর এবং বিষয় ভেদে কখনো কখনো জিআরই ফলাফল।

এছাড়া প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে আবেদনের নির্ধারিত যোগ্যতার বিস্তারিত বিবরণ দেয়া থাকে। তাই আবেদনপত্র পাঠানোর সময় সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।

স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী হলেও স্নাতকোত্তর কোর্সে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। ফলাফল প্রকাশ হওয়ার আগেই যদি আবেদনের তারিখ শেষ হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে কাগজপত্র পাঠানোর সময় নিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটা চিঠি নেয়া যেতে পারে যে, ফলাফল খুব তাড়াতাড়ি প্রকাশিত হবে। আর যেহেতু ট্রান্সক্রিপ্ট পাওয়ার সুযোগ নাই, সেহেতু যতটুকু পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলোর কপি সাথে পাঠালেই চলবে।

নির্বাচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত আবেদনপত্র কিংবা অনলাইন আবেদন ফরম সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে শিক্ষাগত যোগ্যতার সব রকমের সনদপত্র, মার্কশিট, আইইএলটি স্কোরের প্রত্যায়নপত্র, পাসপোর্টের ফটোকপি, আর্থিক দায়দায়িত্বের চিঠি (Letter of Sponsorship) ও পাসপোর্ট সাইজ ছবি । যে ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের ফি থাকবে, সে ক্ষেত্রে তা পরিশোধের রসিদ আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে। এখানে উল্লেখ্য করা দরকার যে, প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র অবশ্যই ইংরেজী অথবা ফিনিস কিংবা সুইডিস ভাষায় হতে হবে।

আবেদন করার সময় আগ্রহপত্র কিংবা অধ্যয়নের উদ্দেশ্যের বিবৃতিটা ভাল করে লিখতে হবে। আর প্রত্যয়নপত্রের ক্ষেত্রে বিভাগীয় অধ্যাপকের হলে ভাল হয়। কারণ ভর্তির জন্য বিবেচনার ক্ষেত্রে এ দু’টো ডকুমেন্ট বেশ গুরুত্ব পেয়ে থাকে।

যে সব বিষয়ে পড়াশুনার সুযোগ রয়েছে

শিল্পকলার ইতিহাস (Art History), সৃজনশীল লেখা (Creative Writing), সামাজিক গবেষণা পদ্ধতি (Social Science Research Methods), বয়স্ক শিক্ষা ও জীবনব্যাপী শেখা (Adult Education and Life-long learning), অর্থনীতি (Economics), অর্থনীতি, রাষ্ট্র ও সমাজ (Economics, State and Society), গণতন্ত্র ও বৈশ্বিক পরিবর্তন (Democracy and Global Transformation), উন্নয়ন অধ্যয়ন (Development Studies), গণমাধ্যম ও বিশ্ব যোগাযোগ (Media and Global Communication), সংবাদ মাধ্যম অধ্যয়ন (Media Studies), উত্তর আমেরিকা অধ্যয়ন (North American Studies), ইউরোপ অধ্যয়ন (Europe Studies), ধর্ম, দ্বন্দ্ব ও সংলাপ (Religion, Conflict and Dialogue), আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক আইন (International Business Law), আন্তর্জাতিক গণ আইন (International Public Law), মেডিকেল ফিজিক্স অ্যান্ড কেমিস্ট্রি, জনস্বাস্থ্য (Public Health), প্যাথলজি, মহাকাশ গবেষণা (Space Research), বায়োকেমিস্ট্রি (Biochemistry), খাদ্য বিজ্ঞান (Food Science), খাদ্য রসায়ন (Food Chemistry), জীব-প্রযুক্তি (Biotechnology), জৈব তথ্য-প্রযুক্তি (Bioinformatics), বাস্তুবিদ্যা (Ecology), পরিবেশ বিজ্ঞান (Environmental Sciences), জীববৈচিত্র্য (Biodiversity), জৈব রসায়ন ও রাসায়নিক বিশ্লেষণ (Organic Chemistry and Chemical Analysis), জৈব রসায়ন ও রাসায়নিক জীববিজ্ঞান (Organic Chemistry and Chemical Biology), তড়িত তথ্য প্রযুক্তি (Electronic Information Technology), ফলিত গণিত (Applied Mathematics), পরিসংখ্যান (Statistics) ইত্যাদি।

ফিনল্যান্ডের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তি হওয়ার জন্য সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র ডাউনলোড করতে হবে। আবার কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি অনলাইনে আবেদন করতে হয়। তাছাড়া কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডাক যোগে মুদ্রিত আবেদন ফরমও সংগ্রহ করা যেতে পারে। প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্রসহ যথাসময়ে আবেদন করার পর অপেক্ষায় থাকতে হবে অফার লেটারের জন্য। তারা না জানানো পর্যন্ত অপেক্ষার পালা। তবে আবেদন করার পর থেকে ভিসা পাওয়া পর্যন্ত প্রায় বছর খানেক সময় লেগে যেতে পারে। আবেদন করার আগে ভালভাবে দেখে বুঝে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করতে হবে। কারণ কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার জন্য ফি পরিশোধ করতে হয়।

আবেদনপত্র আহবান ও জমা দানের সময়

সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তির জন্য আবেদনপত্র আহবান করে ডিসেম্বর এবং তা জমাদান করতে হয় ফেব্রুয়ারীর মধ্যে। তবে কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে তা মার্চ পর্যন্ত হয়ে থাকে।

পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, এদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে টিউশন ফি দেয়া লাগে না। তবে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত কিছু কোর্সে এখন ফি আরোপ করা হয়েছে। এর মধ্যেই আলতো বিশ্ববিদ্যালয় ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষ থেকেই অনেক কোর্সে ফি প্রবর্তন করেছে। কোর্স বিশেষে টিউশন ফি ৮,০০০ থেকে ১০,০০০ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে।

বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশীপ

সাধারণত মাস্টার্স কোর্সে পড়াশুনার জন্য বৃত্তি পাওয়া যায় না একমাত্র ইউরোপীয় ইরাসমাস বৃত্তি ছাড়া। সরাসরি ডক্টোরাল কোর্সে পড়াশুনা করার জন্যও বৃত্তি পাওয়া বেশ কঠিন এবং তীব্র প্রতিযোগিতামূলক। কিন্তু এইখানে মাস্টার্স করার পর ডক্টোরাল কোর্সের জন্য আবেদন করলে বৃত্তি পাওয়া অনেকটা সহজ হয়ে যায়।

খাওয়া-দাওয়া, আবাসন ও আনুসাঙ্গিক খরচ

বৃত্তি না পাওয়া গেলে শুধু থাকা খাওয়ার খরচ নিজে ব্যবস্থা করতে পারলেই পড়াশুনা চালিয়ে নেয়া সম্ভব এখানে। প্রতি মাসে থাকা খাওয়ার জন্য গড়ে ৩৫০-৩৭০ ইউরো খরচ পড়ে। তবে শেয়ারে থাকলে খরচ অনেক কম পড়বে। সেক্ষেত্রে আবাসিক ভাড়া: ২২০-২৪০ ইউরো, খাওয়া খরচ: ৮০-৯০ ইউরো এবং আনুসাঙ্গিক খরচ: ২০-৪০ ইউরোর মধ্যে রাখা যাবে। স্বাস্থ্যসেবার জন্য বাৎসরিক ২৫ থেকে ৭৫ ইউরো ব্যয় হতে পারে। এখরচের হিসেবটা আনুমানিক একজনের একা থাকার ক্ষেত্রে বিবেচ্য। তাছাড়া শহর ভেদে এখরচ কম-বেশি হতে পারে।

এদেশে শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য স্টুডেন্ট এপার্টমেন্ট আছে। সাধারণত শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই এধরণের আবাসনে বসবাস করে। আর স্টুডেন্ট এপার্টমেন্টগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আশে পাশে হওয়াতে যাতায়াত খরচ অনেকটা কমে যায়। তবে এদেশে দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক যাতায়াত কার্ডের ব্যবস্থা রয়েছে। এগুলো অনেকটাই সাশ্রয়ী ও সবধরণের যানবাহনের জন্য ব্যবহার করা যায়।

খন্ডকালীন চাকুরী ও আয়-রোজগারের সুযোগ-সুবিধা

অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ফিনল্যান্ড বিশ্বের অন্যতম একটা সবল দেশ । সম্প্রতি বিশ্ব মন্দা কবলিত হলেও ফিনল্যান্ডে সার্বিক দিক দিয়ে এর প্রভাব অতটা ভয়াবহ নয়। আর এখন এদেশের অর্থনীতি কেবলই উন্নতির দিকে চলছে। এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে কাজ করার প্রচুর সুযোগ যা ইউরোপের যে কোন দেশের তুলনায় নিঃসন্দেহে অনেক ভাল। এখন পর্যন্ত কাজ কর্ম নিয়ে কেউ বড় ধরনের সমস্যায় পড়েছে বলে শোনা যায় নি। বরং সকলেই আসার কয়েক মাসের মধ্যেই মোটামুটি একটা কাজ যোগাড় করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। কোথাও কোথাও শিক্ষার্থীদের সুবিধামত সময়ে খন্ডকালীন কাজ করারও বিশেষ সুবিধা রয়েছে। সাধারণ সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজের আইনী বৈধতা রয়েছে। তবে চেনা পরিচিত লোকজন না থাকলে নতুন অবস্থায় এসে কাজ পেতে সমস্যা হয়। নূন্যতম ৬ মাসের খরচের অর্থ সাথে করে নিয়ে আসলে অনিশ্চয়তা অনেকটা কেটে যায়। কারণ তত দিনে একটা কাজ জুটে যায়।

খন্ডকালীন কাজ সাধারনত ক্লিনিং কোম্পানী গুলোতেই হয়ে থাকে। তাছাড়া হোটেল কিংবা বাংলাদেশীদের ফাস্ট ফুডের দোকানে কাজ পাওয়া যায়। কারণ অন্যান্য কাজ পেতে হলে ফিনিস কিংবা সুইডিস ভাষা জানা অপরিহার্য। তাছাড়া কমপিউটার বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশেষ সুবিধা। ডেমলা (http://www.demola.fi) নামে একটা প্রতিষ্ঠান আছে, যেটি বিভিন্ন সফটওয়্যার কোম্পানি থেকে প্রজেক্ট নিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে দিয়ে করিয়ে থাকে। অনেকটা স্বাধীনভাবে কাজ করার মত। আর এরকম কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারলে পরে তথ্য-প্রযুক্তির চুক্তিভিত্তিক, এমনকি স্থায়ী চাকুরীও হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যারা বুদ্ধিমান তারা এধরনের কাজকে তাদের কোন একাডেমিক প্রজেক্ট হিসেবে নিয়েও ক্রেডিট নিতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তির শিক্ষার্থীদের জন্য ফিনল্যান্ডে চাকুরীর বাজার অনেকটাই স্থিতিশীল। নকিয়া ছাড়াও অন্যান্য সফটওয়ার ফার্মে কাজ পাওয়ার ভাল সুযোগ আছে। প্রথম বছর হয়তো একটু কষ্ট হয়। কিন্তু কোর্সের নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্রেডিট সম্পন্ন করার পর কাজ পেলে কিংবা বৃত্তি পাওয়া গেলে তখন কোন চিন্তা থাকে না। আবার ৫০ থেকে ৬০ ক্রেডিট সম্পন্ন করার পর শিক্ষা সহযোগীর (Teaching Assistantship- TA) পদে খন্ডকালীন কাজ করার জন্য আবেদন করা যায়। আর শিক্ষা সহযোগী হতে পারলে মাস্টার্স থিসিস লেখার ও পরে ডক্টোরেট করা জন্য বৃত্তির পথ অনেকটাই সুগম হয়ে যায়।

ভিসা প্রক্রিয়া ও ব্যাংক ব্যালেন্স

বাংলাদেশে ফিনল্যান্ডের কোন দূতাবাস না থাকায় স্নাতক স্তরে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিংবা স্নাতকোত্তর স্তরে অফার লেটার পাওয়া শিক্ষার্থীদেরকে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীস্থ ফিনিস দূতাবাসে ভিসার আবেদনপত্র জমা দিতে হয়। ভিসা আবেদনপত্র এই ওয়েব সাইট http://www.migri.fi থেকে সংগ্রহ করা যায়। স্টুডেন্ট ভিসার জন্য নিরধারিত ফর্ম ডাউনলোড করে স্পস্ট অক্ষরে প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী পূরণ করে জমাদানের সময় শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট ও মার্কশীটগুলোর আসল কপিগুলো, বীমাপত্রের (Insurance Paper) আসল কপি, জন্মনিবন্ধন সনদপত্র, ইংরেজী ভাষা দক্ষতার সনদপত্র (টোফেল অথবা আইইএলটিএস-এর স্কোর), ব্যাংক সার্টিফিকেট ও তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্টের মূলকপি দেখাতে হবে। আবেদনপত্র এবং অন্যান্য কাগজপত্রের ২ সেট ফটোকপি ভিসার জন্য নির্ধারিত সাইজের ৪ কপি ছবিসহ জমা দিতে হবে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের নিজ নামে খোলা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬,০০০ (ছয় হাজার) ইউরো সমমান টাকা এক থেকে তিন মাস পর্যন্ত জমা রাখার প্রয়োজন হতে পারে। সব রকমের শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া একই ধরনের।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম ও তাদের ওয়েব ঠিকানা

এখানে ফিনল্যান্ড শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম ও তাদের ওয়েব ঠিকানাগুলো তুলে দেয়া হল যাতে করে বিস্তারিত জানার জন্য নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব ঠিকানায় ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের তালিকা।

কোনো পরামর্শের প্রয়োজন হলে

কেউ যদি সত্যিকার অর্থে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে বিদেশে আসতে চায় তাদের জন্য ফিনল্যান্ড হতে পারে একটা আদর্শ জায়গা। এদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী হলে এই ওয়েবসাইট গিয়েও বিস্তারিত জানতে পারেন https://goo.gl/o2ZaYz। এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য যেমন পড়াশুনা করার প্রচুর সুযোগ সুবিধা রয়েছে, তেমনি রয়েছে চাকুরী কিংবা ব্যবসার মাধ্যমে ভবিষ্যত গড়ার অফুরন্ত সম্ভাবনা।

কেন বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও ইমিগ্রেশন প্রয়োজন এ এক্সিওম বেচে নিবেন?

এক্সিওম ২০০৩ সাল থেকে ৫০০০ এর ও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে এবং তাদের পরিবারগুলিকে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পুরুনের জন্য সঠিক ও উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান ও দেশ খুঁজে পেতে সহায়তা করেছে।  এক্সিওম ইউ এস, কানাডা, ইউ কে, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া, চীন, জাপান, জার্মানী, ফ্রান্স, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, সুইডেন সহ বিশ্বের প্রায় ৩৫০ টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসাবে ভর্তি ও ভিসা সহযোগিতা ও ফ্রী পরামর্শ দিয়ে থাকে। এক্সিওম একজন শিক্ষার্থীর ব্যাক্তিগত যোগ্যতা,আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী সেরা পরামর্শ ও সেবা নিশ্চিত করে।

এক্সিওম এর সেবা অন্তর্ভুক্ত:

কোর্স এবং বিশ্ববিদ্যালয নির্বাচন।
ভর্তি আবেদনপত্র জমাদান ও ভর্তি নিশ্চিত করণ।
স্কলারশিপ পেতে সাহায্য করা।
ভিসা প্রক্রিয়ায় পরামর্শদান।
টিউশন ফি পেমেন্ট এ সহায়তা।
যাতায়ত ও আবাসন এর সাশ্রয়ী ও ঝামেলা মুক্ত ব্যাবস্থা করা।

এক্সিওম আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সেবাদান নিশ্চিত করার লক্ষে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক কাউন্সেলিং থেকে শুরু করে কাঙ্খিত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌছা পর্যন্ত সমগ্র প্রক্রিয়াটির জন্য বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং অভিজ্ঞ একজন পরামর্শদাতা নিযুক্ত থাকে। আপনার বিদেশে উচ্চ শিক্ষা বা ইমিগ্রেশন প্রয়োজনে ফ্রী পরামর্শ করতে সরাসরি সাক্ষাত করুন এক্সিওম অফিস বা এপয়েন্টমেন্ট এর জন্য-কল করুন: ০১৬৪৬১০২১৩০-১
(সকাল ১০টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত, শনি – বৃহস্পতিবার)

Open chat
Hello 👋
Can we help you?